বাউফলে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে খাবারে ঘুমের ওষুধ মা ও মেয়েসহ ৫ জন অসুস্থ

  বাউফলে ধর্ষনের উদ্দেশ্যে খাবারে ঘুমের ওষুধ   মা ও মেয়েসহ ৫ জন অসুস্থ

মোঃ দেলোয়ার হোসেন: পটুয়াখালীর বাউফলে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মা ও মেয়েসহ একই পরিবারের ৫ জনকে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জসিম উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মা ও মেয়েসহ ৫জন অসুস্থ তাদেরকে  বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ওয়াডেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যার পরে জসিম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি স্থানীয় এক জেলের ঘরের ডুকে রান্না করা খাবের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকার ওই জেলের চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে (১৩) দেখে ফেলে এবং তার ঘরে আসার কারণ জানতে যায়। তখন জসিম বলেন,‘কি রান্না করেছো তা দেখতে এসেছি।’ এই বলে তিনি চলেন যান। পরে রাত ৮টার দিকে তারা খাবার খেয়ে কিছু সময় পর অচেতন হয়ে পরে। সকালে ওই জেলের বাবা ও মা তাদেরকে অচেতন অবস্থায় দেখেন। সাঁড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের ডেকে আনেন। এসময় অসুস্থ অবস্থায় ওই জেলের ৪র্থ শ্রেণী পড়–য়া মেয়ে তাদেরকে জানান, জসিম হাওলাদার ঘরে এসেছিল। তিনি হয়তো খাবারের সাথে কোন কিছু মিশিয়ে দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জসিম হাওলাদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি রান্না করার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা শিকার করেন। ঘটনার সময় ওই জেলে বাড়ি ছিলেননা। মাছ শিকারের জন্য নদীতে ছিলেন। ঘটনা শুনে আজ রবিবার সকালে তিনি বাড়ি আসেন।
চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফারুক হোসেন, জানান, আটক জসিম হাওলাদার ধর্ষণের উদ্দেশ্যে  খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা তাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
খবর পেয়ে বাউফল থানার এসআই সাইদুর রহমান হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ  ঘটনাস্থল থেকে জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
অসুস্থদের আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুপুরে ওই জেলের স্ত্রী ও বড় মেয়ে ও ছোট ছেলের  জ্ঞান ফিরলেও তখন পর্যন্ত অন্য দুই জনের জ্ঞান ফিরেনি।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎক জানিয়েছেন, তারা সবাই শারিরীক ভাবে অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
চন্দ্রদ্বিপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাস মোল্লা বলেন, ‘আটক জসিম হাওলাদার একজন খারাপ চরিত্রের লোক। এর আগেও তিনি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন’।
আটককৃত জসিম হাওলাদার খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ষণের উদ্দেশ্য খাবারের সাথে ওষুধ মিশিয়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,‘ যেহেতু পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ। তারা সুস্থ্য হওয়ার পরে বক্তব্য শুনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।